ডেস্ক রিপোর্ট :
উত্তরা পশ্চিম থানা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। তিনি পারিবারিক সূত্রেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। বিএনপির রাজনীতি করার কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও হয়েছেন নানা হেনস্তায় শিকার। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন -বিএনপি রাজনীতি করেও একজন জিয়া আদর্শের কর্মী কিভাবে হত্যা মামলার আসামি হলেন? তাদের অভিযোগ -আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি চক্র বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে। তারা জানান, আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ মাছ বাজার নিয়ন্ত্রণে আনোয়ার হোসেনের মতো বিএনপি নেতাকে বাধা হিসেবে দেখছে; তাই তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে মামলার আসামি করেছেন। এছাড়াও হাসিনা সরকারের পতন হলেও এখনো মাছ বাজারটির নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী চক্র কাজ করছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, জন্মসূত্রেই আমরা জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শের। আমার ভাই বন্ধু সবাই বিএনপির বিভিন্ন কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমার এলাকা নেত্রকোনার মদনে ২০২২ সালে আবুল কালাম আজাদ-আল আমীন কমিটির শ্রমিকদলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের পশ্চিম থানা মৎস্যজীবী দলের কমিটি ৫ আগস্টের পরের কোন কমিটি না। এ বছরের মে মাসে আমরা কমিটির দায়িত্ব পেয়েছি। আমার অপরাধ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের দোসররা তাদের চাঁদাবাজির জন্য আমাকে হুমকি মনে করে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যারা ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত ছিলো তারাই এখন আমাদের নামে টাকা খরচ করে হত্যা মামলায় নাম দেয়।
এ বিষয়ে মদনের স্থানীয় শ্রমিকদলের নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনোয়ারের শুধু আমার কমিটির না। তার পরিবারসহ তাদের পুরো গ্রামটায় বিএনপির বিএনপির ঘাঁটি। সে আওয়ামী করার প্রশ্নই আসে না।
নিজস্ব প্রতিনিধি :
Copyright © 2025 kolloltv.com. All rights reserved.