কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের বিল পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা রমজান মোল্লার ছোট ছেলে জামাল মোল্লার দালালী এখনো চরমে।
এলাকা ঘুরে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে বিগত স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে উপজেলার কিছু আওয়ামী নেতাদের সাথে আতাত করে বিভিন্ন সরকারি অফিস,রেজিস্টার অফিস ও কৃষি ব্যাংক সহ নানা জায়গায় সেবা নিতে আসা লোকজন কে টার্গেট করে তাদের কাজ করে দিবে বলে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের হাত করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ করে দিতো এই দালাল জামাল মোল্লা। যা এখনো পর্যন্ত চলমান।
জামাল মোল্লার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ আছে গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া সহজ সরল কৃষকদের কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পাইয়ে দিবে মর্মে ব্যাংকের ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্ট এলাকার সুপারভাইজারের মাধ্যমে নানা কৌশল অবলম্বন করে ঋণ তুলে দিয়ে নির্দিষ্ট অংকের ঋণে প্রতি লাখে দশ হাজার টাকা কমিশন কেটে নিবে মর্মে কৃষকদের বুঝিয়ে ঋণ তোলার পরবর্তী সময়ে কমিশনের টাকা নিজেই আত্মসাৎ করে নিজের পকেট গরম করে এই দালাল জামাল মোল্লা।
এছাড়াও জামাল মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সে দৌলতপুর সাব রেজিস্ট্রিার অফিসের নিবন্ধিত কোন দলিল লেখক না হওয়া সত্ত্বেও দৌলতপুর উপজেলায় অবস্থিত সাব রেজিস্টার অফিস চলাকালীন সময় লেখক সেজে বসে থেকে রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনকে নানাভাবে ভুলভাল বুঝিয়ে নিজের আয়ত্তে নিয়ে কাজ করে দিবে বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
তথ্য অনুযায়ী জানাযায়, অল্প শিক্ষিত গ্রামের সহজ সরল লোকজন রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসে জমির নাম খারিজ ও বেচাকেনার জন্য আসলে তাদেরকেও টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করে দিবে মর্মে জামাল মোল্লার আয়ত্তে থাকা লেখকদের কাছে নিয়ে যেয়ে সুকৌশলে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয় এই জামাল মোল্লা।
অভিযোগ আছে বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই জামাল মোল্লা দিঘলকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাধিকবার সভাপতির পদটি নিজের জন্য বাগিয়ে নেয়। জামাল মোল্লা দিঘলকান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি থাকা অবস্থায়। ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসী সহ এলাকায় বসবাসরত গণ্যমান্য ব্যক্তিকে কোন কিছু না জানিয়েই বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যও করেছেন।
এ বিষয়ের নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দিঘলকান্দি গ্রামের স্থায়ী এক বাসিন্দা জানান, জামাল মোল্লা বিগত সরকারের আমলে দিঘলকান্দি গ্রামে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে একের পর এক ঘটিয়ে গেছে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড।
জামাল মোল্লা শুধুমাত্র নিজের পকেট ভারি করার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষকে দিনের পর দিন নানা ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, জামাল মোল্লার নির্ধারিত কোন কর্ম না থাকলেও সে দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের হাত করে বিভিন্ন অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে ও তাদের কাজ করে দিবে বলে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। এমনটি শুধু আমি নই পুরো এলাকার লোকজন জানে।
শুধু তাই নয় জামাল মোল্লা কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের হাত করে সাধারণ মানুষকে ঋণ তুলে দিয়ে তার দালালি খরচ বাবদ প্রতি এক লাখ টাকায় দশ হাজার টাকা কমিশন কেটে নেয়।
তিন আরো জানান, এ ধরনের দালালরা যতদিন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোতে দালালি করবে ততদিনই মানুষ উপকারের চাইতে ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হবে। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব এ ধরনের দালাল শ্রেণীর গুটিকয়েক লোকজনকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করলেই সাধারণ মানুষ এদেরকে চিনবে ও এদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ বিষয়ে জামাল মোল্লার সাথে প্রতিবেদক কথা বললে তিনি জানান, কৃষি ব্যাংকে শুধু আমি আমার লোনের জন্য যাই, তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিতো সকল অভিযোগ মিথ্যা। এর পরে জামাল মোল্লা প্রতিবেদক কে জানাই বড় ভাই মোবাইল ফোনে তো সব কথা বলা যাবে না সামনাসামনি আপনার সাথে দেখা করে আমি কথা বলব।
নিজস্ব প্রতিনিধি :
Copyright © 2025 kolloltv.com. All rights reserved.