“কৃষি জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভারতের এক নাগরিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে।”
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক বাংলাদেশি যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া সীমান্তে এওলাছড়া বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে কুলাউড়া থানার এসআই ফরহাদ মাতুব্বর জানান। নিহত ৪৫ বছর বয়সী আহাদ আলী এওলাছড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহাদের স্ত্রী জমিরুননেছা বাদী হয়ে রাতেই কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার জানিয়েছেন। কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, তাদের ইউনিয়নের বড় একটি অংশ সীমান্ত ঘেঁষা। সীমান্তে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অনেকের জমি রয়েছে। ওইসব জামিতে তারা কৃষি কাজ করে জীবিকা চালান। একইভাবে সীমান্ত এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতীয় নাগরিকরাও কৃষি কাজ করে। তিনি বলেন, “এওলাছড়া এলাকার আহাদও নো-ম্যান্স ল্যান্ডে কৃষিকাজ করতেন। তার ওই কৃষি জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভারতের এক নাগরিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে হাসপাতালে আহাদের মৃত্যু হয়।” নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার জানিয়েছেন। কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, তাদের ইউনিয়নের বড় একটি অংশ সীমান্ত ঘেঁষা। সীমান্তে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অনেকের জমি রয়েছে। ওইসব জামিতে তারা কৃষি কাজ করে জীবিকা চালান। একইভাবে সীমান্ত এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতীয় নাগরিকরাও কৃষি কাজ করে। তিনি বলেন, “এওলাছড়া এলাকার আহাদও নো-ম্যান্স ল্যান্ডে কৃষিকাজ করতেন। তার ওই কৃষি জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভারতের এক নাগরিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে হাসপাতালে আহাদের মৃত্যু হয়।”
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিলভেস্টার পাঠাং বলছেন, শ্বশুরবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই আহাদকে কোপানো হয় বলে এলাকাবাসী তাকে জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ পাঠানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত পতাকা বৈঠকে কৈফত চাওয়া হবে। কর্মধা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মাহমুদা আক্তার বলেন, “ঘটনাটি আমার এলাকায় হয়েছে। এলাকাবাসীর কাছে শুনেছি, হায়দার আলী নামে এক ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে আহাদের প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়।
“পরে হায়দার তাকে কুপিয়ে জখম করে। হায়দারের সঙ্গে আহাদের আত্মীয়তাও রয়েছে বলেও শুনেছি।”
এ ব্যপারে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুত্র :